সিকৃবিতে ম্যানার শেখানোর নামে মধ্যরাতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ AM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ AM

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে ম্যানার শেখানোর নামে নতুন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচার ১৬তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত বারোটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সিকৃবির পাশের টিলাগড় ইকোপার্ক রোডের আমিরের টং সংলগ্ন ব্রিজে অ্যাগ্রিকালচার ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওপর এই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, এগ্রি-১৬ তম ব্যাচের কয়েকজনের ছাত্রের নির্দেশে এগ্রি-১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফকে দিয়ে ব্যাচের সব ছেলেকে আমিরের টং নামক স্থানে রাত বারোটার পর আসতে বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তাদেরকে ৩-৪ জন করে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের গ্রুপে আরিফ মেসেজ দিয়ে বলে রাত ১২ টার পর ভাইদের সাথে দেখা করতে হবে সবাইকে এবং অবশ্যই থাকতে হবে। আমরা ১৭ জন আমিরের টং সংলগ্ন ব্রিজে পৌঁছাতেই আমাদের মোবাইল ১৬তম ব্যাচের ভাইরা জব্দ করে এবং কারো কারো ফোন বন্ধ করে দেয়। সেখানে আমাদেরকে সিনিয়রদের সালাম দেয়া নিয়ে অনেক অশ্লীল কথা বলে। কয়েকজনকে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রাখে আর একজনকে ব্যাঙের মতো অঙ্গভঙ্গি করিয়ে রাখে। তাদের উচ্চস্বরে চেঁচামেচিতে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পাশের বসবাসরত এলাকার অনেকেই লাঠি নিয়ে এসেছিল মারামারি ভেবে,ভার্সিটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে তারা চলে যায়।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘ভার্সিটির বড় আপুদের নিয়েও অনেক অশ্লীল কথা বলে আমাদের। ক্লাসে এসে আমাদেরকে সবাইকে কান্না করাবে বলেও হুমকি দেয়। আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন তারা। আমি তাঁদের এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত না। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং, বুলিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তবুও যারা এমন কাজ করছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। এখানে কোনো পলিটিক্যাল সংশ্লিষ্টতা থাকলেও ছাড় দেয়া হবে না।’