৬ বছর পর শেকৃবিতে ছাত্রলীগের সম্মেলন

৬ বছর পর শেকৃবিতে ছাত্রলীগের সম্মেলন
৬ বছর পর শেকৃবিতে ছাত্রলীগের সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) ভবনে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

উদ্বোধক বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের ছাত্র রাজনীতি করার ক্ষেত্রে যেসকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। আমাদেরকে শিক্ষাগতভাবে আরো উন্নত এবং উপযুক্ত হতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের সম্মেলনগুলোতে শিক্ষাবিদদের অতিথি হিসেবে রাখতে চেষ্টা করছি। যাতে করে আমরা তাদের থেকে শিখতে পারি, বুঝতে পারি। কীভাবে নিজেদেরকে আরো স্মার্ট ভাবে গড়ে তোলা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ছাত্রলীগ নেতাদেরকেই নিতে হবে। আমরা যেন সময়ের সাথে এগিয়ে চলা সব থেকে প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে সবসময় নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি।

আরও পড়ুন: জাবির মূল ফটকসহ ৬ গেটে তালা দিল ছাত্রদল

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশ যখন উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে, সেখানে কিছু অপশক্তি আমাদের এ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে দেশ ও বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তবে আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে কোনো অপশক্তির স্থান হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে সব অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

প্রধান বক্তার আলোচনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, কৃষি গবেষণায় আমাদেরকে জোর দিতে হবে। আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কৃষি গবেষণার বিকল্প নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে সবসময় কৃষিকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইনান বলেন, আমাদের দেশের কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের নেত্রী কৃষি উন্নয়নের সনদ হিসেবে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রনোদনা, এআইপি চালুকরণসহ বিভিন্ন নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ