১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৬

মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তির ফল প্রকাশ হতে পারে আজই, জানা গেল সম্ভাব্য সময়

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ রবিবার প্রকাশ করা হতে পারে  © ফাইল ছবি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হতে পারে। দুপুরের দিকে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের চূড়ান্ত সময় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আশা করছি, দুপুর নাগাদ প্রকাশ করা হবে। ফলাফল প্রকাশ হলে ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও জানতে পারবেন।’

এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বুয়েট এবং ঢাবির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সমন্বয়ে মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ চলছে। অনেক খাতা দেখার কাজ করতে হচ্ছে। রবিবার দুপুরের পর ফল প্রকাশ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র এবং ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের  পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৭ কলেজের খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের আবেদন

শুক্রবার তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে। পরীক্ষাহ ৯৮.২২ শতাংশ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির হার ১.৭৮ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষার ফল দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ এবং ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬০০১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। 

এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।