গুচ্ছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালুর দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

প্রতীকী
প্রতীকী  © ফাইল ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালুর দাবিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভর্তিচ্ছুদের একাংশ। স্মারকলিপিতে পূর্বের ন্যায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে (বঙ্গভবন) ভর্তিচ্ছুরা এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেন। কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে ভর্তিচ্ছুরা বলেন, গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) ভর্তি পরীক্ষা গত ৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাস করা শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চারটি মেরিট ও চারটি মাইগ্রেশন প্রকাশিত হয়। এরপর চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

‘‘কিন্তু গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ইতিমধ্যে ২২২০টিরও বেশি আসন শূন্য রয়েছে। যার জন্য গুচ্ছ কেন্দ্রীয় কমিটি বিশেষ পর্যায়ে মাইগ্রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও তা শুধুমাত্র একক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় চয়েস দিতে পারবেন গুচ্ছের ভর্তিচ্ছুরা

ভর্তিচ্ছুরা বলেন, এমন সিদ্ধান্তে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তার নিজের স্বপ্নের সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও মাইগ্রেশন শুধুমাত্র একক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ থাকলে চূড়ান্ত ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই যেতে পারবেন না।

এসময় মো. শাহরিয়ার হোসেন, মোছা. হালিমা সাদিয়া, ইসরাত জাহান ইমা, মোসা. আফরোজা আক্তার প্রমুখ ভর্তিচ্ছুরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুন্য আসন পূরণে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। তবে মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাইগ্রেশন দেয়ার যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা মোটেই গ্রহণ যোগ্য নয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল ও মেরিট নিয়েও পছন্দের বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পাবে না। যদি বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বেন।

এর আগে, আসন খালি থাকায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এক সভায় অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ কার্যক্রমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাইগ্রেশন চালু রাখা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম আগামীকালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ