০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:২১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫তম প্রজাতি মেলা অনুষ্ঠিত

প্রজাপতি মেলা দেখছে দর্শনার্থীরা  © টিডিসি

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে ১৫তম প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাপতি মেলা উপভোগ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই মেলা দেখতে। দিনব্যাপী এই মেলায় শিশু-কিশোরদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষত শিশুদের জন্য খুবই আনন্দপূর্ণ ছিল রঙিন এই আয়োজন।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপর ১২টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মানছুরুল হক।

এবারের মেলায় প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন্যপ্রাণী বিশারদ ও সংরক্ষণবিদ ড. আলী রেজা খানকে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। বাটারফ্লাই ইয়াং এনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নুরে আফসারী ও শাহরিয়ার রাব্বি তন্ময়কে। 

এ ছাড়া আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত করা হয় সৈয়দ আব্বাস, মাহমুদুল বারি ও প্রিন্স পাল জয়কে এবং  মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় মাহ্ আলমকে (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা), মো. আহসান হাবীব (একুশে টেলিভিশন), মো. মিজানুর রহমান (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মেলায় র‍্যালি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পাপেট শোসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।

প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রজাপতি মেলা জাবির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে আছে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম জাগিয়ে তুলতে এ আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘প্রজাপতিসহ সব প্রাণীর প্রতি আমাদের মানবিক ও যথাযথ আচরণ করতে হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং এসব প্রাণী আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রাণী সংরক্ষণে মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে যথাযথ টেকসই উন্নয়নের উপাদান ব্যবহার করতে হবে, তাহলে এসব প্রাণীর ওপর যথাযথ আচরণ করা হবে। মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নিজেদের মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে যে অবনতি হয়েছে সেই পরিস্থিতি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, জাকসু ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস মো. মাজহারুল ইসলাম ও জাকসুর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক কাজী রাজিউদ্দীন আহমেদ চপল, সাউথইস্ট ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুম উদ্দীন খান, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, কান্ট্রি ডিরেক্টর আইইউসিএন ও সাবেক প্রধান বন সংরক্ষণ ইসতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।