নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে ডাকসুর গণজমায়েত ও বিক্ষোভ
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘিরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮ টায় ডাকসুর সামনে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জমায়েত হয়। সেখান থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগের বিচার করা। কিন্তু তারা এটা করতে পারে নি। আমরা রাজপথে থেকেই এর জবাব দিব। আগামীকাল সারাদিন মাঠে থাকবো।
ডাকসুর পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক ও সিনেট সিন্ডিকেট সদস্য আসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা মাঠের কর্মী, ময়দানের কর্মী। আমার দীর্ঘ ১৭ বছর ময়দানে ছিলাম। খুনি লীগ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে রাজপথে ছিলাম। এখনো থাকবো। অনতিবিলম্বে খুনি হাসিনা সহ তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গাফিলতির কারণে প্রত্যেকটি জায়গায় যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে যেখানে জাতির সকল বয়সি মানুষ যে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেখানে সরকার দায়সারা বক্তব্য দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আজকে যেখানে হাসিনার বিচারের রায়ের ঘোষণায় সকলের খুশি হওয়ার কথা ছিল সেখানে সরকারের নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামতে হচ্ছে । এটা খুবই দুঃখজনক।
ফরহাদ আরও বলেন, যে দলের টপ টু বটম বিদেশে পালিয়ে যায়, যে দলের বিপক্ষে সারা দেশের মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল কীভাবে তাদের সাহস হয়, চেতনাবোধ আবার জাগ্রত হয় যে রাস্তায় নামার সাহস পায়। আমরা ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ সকল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা এই সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান সব সময় থাকবে।
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ৩৬ জুলাই শেষ হয়ে গেছে। এই আওয়ামী লীগের দালালদের যেখানেই পাওয়া যাবে প্রতিহত করতে হবে।
আজকে দের বছর পরও হাসিনার বিচারের জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এই দায়িত্ব অন্তবর্তীকালীন সরকারের ছিল। খুনি হাসিনার ফাঁসিএই বাংলাদেশে হবে। তার দোসরদের বিচার এই দেশেই হবে।
তিনি বলেন, যারা খুনি হাসিনাকে দায় মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেটা যেই রাজনৈতিক দলই হোক, ছাত্র সংগঠন হোক, ইন্টেরিমের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদীর দোসর হিসেবে কাজ করছেন তাদের সাবধান করে দিতে চাই ,সাবধান হয়ে যায়।
খুনি হাসিনার বিচারের দাবিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য, ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে অনৈক্য। আপনারা এই অনৈক্য দূর করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিবো। আমরা দেখতে চাই আওয়ামী লীগের দোসররা কোথায়? তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই দমন করা হবে। একই সঙ্গে আগামীকাল যেখানেই আওয়ামী দোসরদের দেখতে পাবেন তাদেরকে ধরে থানায় দিবেন, বিচারের আওতায় নিয়ে আসবেন।