মুছে যাচ্ছে চাকসু ভোটারদের কালি, কমিশনার বললেন—‘এর চেয়ে ভালো কালি বাংলাদেশে নেই’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কালি উঠে গেলেও দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। কালি উঠে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদল ও শিবির প্যানেল ছাড়াও দ্রোহ পর্ষদ প্যানেল থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে। ফলে তারা পুনরায় ভোট দিতে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। আমি নিজেও এখন ভোট দিয়ে এসেছি, কিন্তু আমার আঙুলের কালি মুছে গেছে। প্রশাসন ইতোমধ্যে তাদের দায় স্বীকার করেছে। এটা ভোটের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েক দিনেও মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই অটোমেটিক উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভোট দিয়ে বের হওয়া সমাজতত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলা ভবনে আমি ভোট দিয়েছি। এখানে কালি কিছুটা উঠে যাচ্ছে, তবে আমি মনে করি এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ভোটার তালিকায় ভোটারের ছবি দেখে ক্রসচেক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাক্ষরও নেওয়া হচ্ছে। তাই যে একবার ভোট দিচ্ছে, তার দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। শেষপর্যন্ত এভাবে চললে আশা করছি সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমরা বাংলাদেশে এরচেয়ে ভালো কালি পাইনি। এর চেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে। কিন্তু কালি মুছে গেলেও একজন ভোটারের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সবাইকে তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নম্বর চেক করা হচ্ছে, এরপর আইডি নম্বর, ভোটারের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কারো পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।