১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০৭

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন

প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম  © টিডিসি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবার কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম। তিনি আসন্ন হল সংসদ নির্বাচনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি। পোষ্য কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।

আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা অফিসারের সন্তানেরা মাত্র ৩৫-৪০ মার্ক পেয়ে ভালো ভালো বিভাগে পড়াশোনা করছে৷ সেখানে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান বেষম্যের শিকার হয়। এই কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমার অনশন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমি কাপনের কাপড় নিয়ে অনশনে বসেছি কারণ, যেই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এত রক্ত ঝরেছে, সেই মীমাংসিত কোটাকে প্রশাসন কেন আবার বৈধতা দিলো। যতক্ষণ পর্যন্ত না এর সুষ্ঠু সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে ১৭ বছরের স্বৈরশাসককে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি, সেখানে রাবির শিক্ষকদের সিন্ডিকেট ও আমরা ভাঙতে পারব। আমি সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনকে আহ্বান করব যে আমার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা একই কাতারে অনশনে বসে যেত।’

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

আসাদুল আরও বলেন, ‘আমি যখন ২০২১ সালে অ্যাডমিশন পরীক্ষা দেই, তখন আমার নম্বর ছিল ৬৮ দশমিক ৫। এই নম্বর নিয়ে আমি সংস্কৃতি বিভাগে পড়াশোনা করছি, কিন্তু আমার সঙ্গে একই সেশনে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম পাস নম্বর নিয়ে আইন, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ ভালো ভালো বিভাগে পড়াশোনা করছে। আমি চাই প্রশাসন শিগগিরই এই পোষ্যকোটা নামক বিষফো‌ড়া সমূলে উৎখাত করবে।’

উল্লেখ্য, বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে রাবিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ পেয়ে পাস করা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।