জাকসু নির্বাচন : ভোটারদের হাতে দেওয়া হয়নি কালি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের হাতে অমোচনীয় কালি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও ভোটাররা ভোট দিয়েছেন কি না, সেটা যাচাই করার অন্যতম উপায় হল অমোচনীয় কালি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়ার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে এমন ঘটনা বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ভোট দিয়ে এসে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি জীবনে আজকে প্রথম ভোট দিতে এসেছি। ভোটের আনন্দ হাতে কালি দিবে কিন্তু এখানে কোন ভোটারকে কালি দিচ্ছেন না তারা।
অমোচনীয় কালি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘পুরাতন হলগুলোতে অমোচনীয় কালি দেওয়া হলেও নতুন হলে এমনটা নেই। আমি চাই পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই নিয়মে ভোটগ্রহণ হোক।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।