১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২

ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী জুলাই আন্দোলনের আলোচিত সেই তন্বি

সানজিদা আহমেদ তন্বি  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এবারের নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন একই জোটের এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন মহিউদ্দিন খান।

ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ২ হাজার ১৩১ ভোট।

সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।

ভিপি পদে প্রায় সবকটি হলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল জগন্নাথ হল। সেখানে সাদিক কায়েম পেয়েছেন মাত্র ১০টি ভোট, যেখানে আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ ভোট।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে, প্রায় ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯১৫ জন।

ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। হল সংসদের ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ছিল ২৩৪টি, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোটারকে মোট ৪১টি করে ভোট দিতে হয়েছে।

এরইমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এছাড়াও আবদুল কাদের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।