০৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৪

ঢাবির হলে বসানো ফিল্টারগুলো কত কষ্ট করে ব্যবস্থা করেছি তা আমরাই জানি

ঢাবি ও শিবিরের লোগো এবং ঢাবি শিবিরের ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল মারুফ  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থাপন করা পানির ফিল্টার ভাঙচুর করে তা অপসারন করেছেন এক দল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাবি শাখা শিবিরের ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ। এসব ফিল্টার নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে  তিনি বলেছেন, একটি ফিল্টার বসানোর পেছনে সংশ্লিষ্টদের অনেক পরিশ্রম, সময় ও খরচ জড়িয়ে থাকে। আমরা কোথায় কোথায় গিয়ে, কত চেষ্টায় এই ব্যবস্থা করেছি, তা শুধু আমরাই জানি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এসব কথা জানান। মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ ফেসবুকে লেখেন, আপনারা ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর দেওয়া ফিল্টারের পানি পান করবেন না, এটি আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ ও সিদ্ধান্ত, তাতে আপত্তির কিছু নেই। তবে দয়া করে এই সরঞ্জামগুলো নষ্ট করবেন না। একটি ফিল্টার বসানোর পেছনে সংশ্লিষ্টদের অনেক পরিশ্রম, সময় ও খরচ জড়িয়ে থাকে। আমরা কোথায় কোথায় গিয়ে, কত চেষ্টায় এই ব্যবস্থা করেছি, তা শুধু আমরাই জানি।

তিনি বলেন, আপনি যদি এটি ব্যবহার করতে না চান, সেটি আপনার অধিকার। সেক্ষেত্রে অনুরোধ থাকবে—ব্যবহার না করে সরিয়ে বা ফেরত দিয়ে দিন। তবে সরাসরি নষ্ট করে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত, যা কারও জন্যই কল্যাণকর নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্যের ক্ষতি করে নিজের অবস্থান তুলে ধরা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ঢাবির সূর্য সেন হলে ফিল্টার অপসারনের দৃশ্য

সবশেষে মারুফ বলেন, আপনার দাবি থাকতেই পারে, এবং তা শান্তিপূর্ণ উপায়ে উপস্থাপন করাও আপনার অধিকার। তবে প্রতিক্রিয়া জানানোরও একটি গ্রহণযোগ্য সীমা থাকা প্রয়োজন। আমরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এখানকার পরিবেশ, মূল্যবোধ ও গৌরব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার, দায়িত্বশীলতা ও সহনশীলতার সঙ্গে সকল বিষয়ে এগিয়ে যাই।

প্রসঙ্গত, রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া ঢাবির ১৮ হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাবির সূর্য সেন হলসহ সব হলের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাতে হল রাজনীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এ বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সূর্য সেন হলে শিবিরের দেওয়া ফিল্টার ভেঙে ফেলতে দেখা গেছে। তাছাড়া, রোকেয়া হলে দেওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ভেন্ডিং মেশিনে (স্যানিটারি ন্যাপকিন) জুতা মারতেও দেখা গেছে এক শিক্ষার্থীকে। এর বাইরে, অন্য সংগঠনের দেওয়া সবকিছুই বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।