২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৯

৩ সেটিংস বন্ধ করলেই ব্যক্তিগত তথ্য পাবে না গুগল-ফেসবুক

প্রতীকী ছবি   © এআই সম্পাদিত

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে অজান্তেই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন—অবস্থান, কথোপকথন, সার্চ হিস্ট্রি, এবং অনলাইন কার্যকলাপ—ট্র্যাক করতে পারে এসব প্ল্যাটফর্ম। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তারা আমাদের জন্য টার্গেটেড বিজ্ঞাপন, সাজেস্টেড ভিডিও, রিলস বা অন্যান্য কনটেন্ট দেখায়। ফলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর হুমকি তৈরি হয়। তবে কিছু সহজ সেটিংস পরিবর্তন করে আপনি এসব প্ল্যাটফর্মের কাছ থেকে আপনার তথ্য নিরাপদ রাখতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুগল ও ফেসবুকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস বন্ধ করলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব। এখানে আমরা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস নিয়ে আলোচনা করছি, যেগুলো বন্ধ রাখলে আপনার তথ্য কম সংগ্রহ করবে গুগল বা ফেসবুক।

গুগলের Voice & Audio Activity
গুগল অনেক সময় আপনার ভয়েস ও অডিও ডেটা রেকর্ড করে রাখে, যাতে আপনার ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে আরও ভাল সার্ভিস বা কনটেন্ট সাজানো যায়। তবে এটি আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

এটি বন্ধ করতে:
গুগল অ্যাপ খুলুন।
প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করুন।
‘Data & Privacy’ অপশনে যান।
Voice & Audio Activity অপশনটি বন্ধ করুন।
এতে আপনার ভয়েস ও অডিও তথ্য গুগলের সার্ভারে আর সংরক্ষিত হবে না।

পারসোনালাইজড অ্যাডস
গুগল আপনার সার্চ হিস্ট্রি, ব্রাউজিং প্যাটার্ন এবং অ্যাপ ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখায়। এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনটি সাজানো হয়। আপনি চাইলে এই সুবিধাটি বন্ধ করতে পারেন।

এটি বন্ধ করতে:
গুগল অ্যাপ খুলে ‘My Ad Center’-এ যান।
‘Personalized Ads’-এর টগল অফ করুন।
এভাবে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনার সার্চ হিস্ট্রি নিরাপদ থাকবে।

লোকেশন ট্র্যাকিং
গুগল ম্যাপসের লোকেশন ট্র্যাকিং সুবিধা আমাদের চলাচলকে সহজ করে দেয়, তবে এটি আমাদের প্রতিটি গতিবিধি গুগলের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আপনি যেখানে যাচ্ছেন, কতক্ষণ কোথাও ছিলেন, কোন রেস্টুরেন্ট বা শপিং মল ভিজিট করেছেন—এ সব তথ্য গুগল সংরক্ষণ করে।

এটি বন্ধ করতে:
গুগল ম্যাপস অ্যাপ খুলুন।
প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করুন।
‘Your Data in Maps’ অপশনে যান।
Location History অপশনটি বন্ধ করে দিন। এতে গুগল আর আপনার চলাচলের তথ্য সংরক্ষণ করবে না, ফলে গোপনীয়তা কিছুটা রক্ষা হবে।

এই তিনটি সেটিংস বন্ধ করে আপনি আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারবেন এবং গুগল বা ফেসবুকের কাছ থেকে আপনার তথ্য কম সংগ্রহ হবে। ব্যক্তিগত কথোপকথন ও অভ্যাস ট্র্যাক হওয়া কমবে, সার্চ ও ব্রাউজিং ডেটা নিরাপদ থাকবে, এবং অনাকাঙ্ক্ষিত টার্গেটেড বিজ্ঞাপনও কমে যাবে। এর মাধ্যমে আপনার ডিজিটাল প্রাইভেসি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।