১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৬

সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন

সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন  © সংগৃহীত

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনায় সারা দেশের সরকারি কলেজে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দেশের সব সরকারি কলেজে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিনভর কলেজগুলোতে এ কর্মসূচি চলবে।

এর আগে ঢাকা কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর মব আক্রমণ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। তারা বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে এই হামলার বিচার করতে হবে।

শিক্ষা ক্যাডাররা বলেন, সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুর রহমান ও কিছু শিক্ষার্থীর ওপর বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও উপস্থিত ছিল যারা আক্রমণ করেছে।

উল্লেখ্য সোমবার সকাল ৯টায় শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় কিছু ছাত্র কলেজের উপাধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কলেজের শৃঙ্খলা ব্যাহত হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের আদেশে সকাল থেকেই শিক্ষকরা কলেজে ভিজিলেন্স টিম হিসেবে সতর্ক অবস্থানে থাকেন।

উচ্চমাধ্যমিকের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুর রহমান কলেজে অবস্থানকারী শিক্ষা ভবনের দিকে লংমার্চ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে অগ্রসর হন। সেসময় আকস্মিকভাবে কিছু ছাত্র তার উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য কটুবাক্য উচ্চারণ করে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর তারা উচ্চমাধ্যমিকের কিছু ছাত্রকেও আক্রমণ করে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।

এ সময় কলেজে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও উপস্থিত ছিল যারা আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বহিরাগতসহ দুষ্কৃতিকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরবর্তীতে তারা সংগঠিত হয়ে শিক্ষক লাউজে আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে।