ডাকসুর সময় বামরা জাতচ্যুত করল, যেন তাদের কাছে ইজারা দেওয়া: সর্ব মিত্র চাকমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা বামপন্থি সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি যখন ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিলাম, সর্বপ্রথম আমাকে জাতচ্যুত করল বামেরা, যেন বামেদের কাছে আমাদের জাত পরিচয় ইজারা দেয়া আছে।’
তিনি বলেন, আমার জাত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার আপনার নেই। আমি চাকমা, আমি বাংলাদেশি- এটা আমার পরিচয়!
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সর্ব মিত্র লেখেন, আমার নিজের মানুষজনের কেউ কেউ সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো যা শুরু করে দিয়েছিলেন। আমি সংযত রাখার চেষ্টা করেছি সবসময়, সহ্য করে গেছি পুরোটাই। বারংবার বুঝিয়েছি, ‘না, আমি শিবিরের দলে যুক্ত হইনি। নির্বাচনি জোট মাত্র। আমি ধর্ম ত্যাগ করিনি, ইত্যাদি ইত্যাদি।’
তিনি বলেন, বললাম, ‘বেশ, আমার উপর বিশ্বাস রাখার দরকার নেই। কাজের সময় দেখে নিবেন। কাজ করবো।’ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল অন্তত একটা জাত বিরোধী বাক্য মুখ থেকে বের করে আনার জন্য। একটা বাম মিডিয়া জোর দিয়ে এ চেষ্টা করেছিল নির্বাচনি প্রচারণার সময়। চেষ্টা করা হয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায় কিংবা জগন্নাথ হল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য যেন করি।
খাগড়াছড়ির ঘটনার বিষয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল খাগড়াছড়ির উত্তপ্ত অবস্থার কথা জানামাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলাম, যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সে নিয়ে কথা বললাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের আটক করা হয় সে দাবিটা করলাম। উক্যানু মারমাকে কেন আটক করা হলো সে নিয়ে কথা বললাম। আমি জানি না আপনাদের নেতারা এ চেষ্টাটাও করেছে কিনা। আমি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একজন প্রতিনিধি মাত্র। আমি এ নিয়ে চুপ থাকলেও আমার খুব বড় ক্ষতি হতো না।
সবশেষে সর্ব মিত্র বলেন, তারপর, আবার যা বলা শুরু করলেন.... মূলত, আমি আপনাদের আমার কলিজা রান্না করে খাওয়ালেও আপনারা বিরোধিতা করে যাবেন, আমি জানি। আমিও আমাদের স্বজাতির সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলের জন্য, কল্যাণের জন্য কাজ করে যাব। আমার জাত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার আপনার নেই। আমি চাকমা, আমি বাংলাদেশি- এটা আমার পরিচয়!