তিতুমীর কলেজে জাতীয় বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত
সরকারি তিতুমীর কলেজে প্রথমবারের মতো শহিদ তিতুমীর স্মৃতি স্মারক জিটিসি ডিসি প্রথম জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে কলেজের শহিদ বরকত মিলনায়তনে দ্বিতীয় দিনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
‘তোমার আলোর রথ চালিয়া ভাঙব ঘুমের দ্বার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই জাতীয় বিতর্ক উৎসবে অংশগ্রহণ করেন দেশের পঞ্চাশটির অধিক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা।
তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাবের মডারেটর ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ নাজিয়া জাহানের সভাপতিত্বে ও বিতর্ক ক্লাবের ফৌজিয়া ইফফাত তন্বী, ইমরান হোসাইন ইমরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব, তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক এম এম আতিকুজ্জামান।
এর আগে, ২৯ আগস্ট প্রথম পর্বের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সংসদীয় বাংলা বিতর্কের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। এতে বিজয়ী হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক দল ও রানারআপ হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক দল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিতর্ক একটা জাতির জন্য বিরাট সম্পদ,যুক্তির মাধ্যমে একটা ছোট বিষয়কে যুক্তিপূর্ণ বিষয়ে পরিণত করা যায়। যুক্তি তর্কের মাধ্যমে কত বেশি সুপরিচিত করা যায়,সেটা জানতে হলে এই বিতার্কিকদের সামনে দাঁড়ানো উচিত। তিনি আরো বলেন, ভাষার লালিত্যে কীভাবে একটা বিষয়কে উন্নত সাহিত্যে রূপায়িত করা যায়,সেটি এখানে দেখা যায়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, এসএসসি পাসের পরে বিতর্ক হবে পার্সোনাল কারিকুলাম। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক হবে। এর মাধ্যমে এমন একটি জেনারেশন তৈরি হবে যারা কঠিনভাবে চিন্তা করতে শিখবে।
জাতীয় বিতর্ক উৎসবে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব বলেন, তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব তাদের কর্ম, মেধা, যোগ্যতা দিয়ে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিতর্ক ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ক্লাবে রুপান্তর হয়েছে। সেজন্য আমি ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ভীষণ কৃতজ্ঞ। কথায় আছে 'দ্য লিডার ইজ অ্যাকশন নট পজিশন' আমাদের এই কথাটিকে বিশ্বাস করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিতুমীর কলেজ ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি হাবিবুল্লাহ রনি বলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব যে শুদ্ধতার চর্চা করে তা শুধু তিতুমীর কলেজে সীমাবদ্ধ না রেখে। পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের যে মন জাগতিক বিষয় রয়েছে এবং মেধা ও মনন কে আরো শানিত করার জন্য আমাদের এই আয়োজন। আমি মনে করি এই আয়োজনটি তিতুমীর কলেজে ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে থাকবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের পথ চলার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয়।