বিসিএসের সিলেবাসে কিছু অংশ প্রার্থীদের প্রস্তুতিতে সঠিক নির্দেশনা দেয় না: গবেষণা
বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরনে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এক গবেষণায় দেখা যায়, এই নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাসের কিছু অংশ অপ্রয়োজনীয়, কিছু অংশ অস্পষ্ট আবার কিছু অংশ অতি দীর্ঘ, যা প্রার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সঠিক নির্দেশনা দেয় না। তাই সিলেবাস পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে ‘বিসিএস সিলেবাস এবং প্রশ্ন প্যাটার্ন নিয়ে পরামর্শমূলক কর্মশালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেছেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, সৃজনশীল ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের কাঠামো যুগোপযোগী করা সময়ের দাবি।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের জন্য একটি সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। বিসিএস এর সিলেবাস নিয়ে গবেষণা চলমান। গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, সিলেবাসের কিছু অংশ অপ্রয়োজনীয়, কিছু অংশ অস্পষ্ট আবার কিছু অংশ অতি দীর্ঘ, যা প্রার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সঠিক নির্দেশনা দেয় না। তাই সিলেবাস পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
ফলে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় কারিকুলামের সাথে সমন্বয় করে মানসম্মত একটি সিলেবাস প্রণয়ন করা হবে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞবৃন্দ সিলেবাসটিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আধুনিক, স্বচ্ছ ও প্রাসঙ্গিক করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। আলোচনায় এমন একটি সিলেবাসের কথা বলা হয়, যে সিলেবাসটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশের জন্য উপযোগী এবং অন্যান্য নিয়োগের সুপারিশের ক্ষেত্রেও দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে। ধাপে ধাপে সিলেবাস পরিবর্তন করা হবে এবং যৌক্তিক সময় হাতে রেখে প্রার্থীদের জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে বিসিএস এর সিলেবাস ছাড়াও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং প্রশ্নপত্রের সাথে মার্ক বিভাজনের সমন্বয়ের বিষয়ও আলোচনা হয়।
চেয়ারম্যান কর্মশালায় উপস্থাপিত মতামত ও সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যবৃন্দ, ইউিএনডিপির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।