অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

ইউজিসি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ইউজিসি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

দেশে নতুন করে আরও তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর দুটি পর্যবেক্ষণ বাকি রয়েছে। নতুন এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৬টিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) একটি সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামে পোর্টো গ্র্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঝিনাইদহে সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজধানীর পূর্বাচলে সাউথ পয়েন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টোকনোলজি নামে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন চাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ঝিনাইদহের সৃজনী নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সেই সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা জানানো হয়েছে। এখন ইউজিসির একটি পরিদর্শন দল সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এছাড়া পূর্বাচলে সাউথ পয়েন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামের বিশ্ববিদ্যালয়টিও পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

জানা গেছে, ২২টি শর্তে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে সাত বছর, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্তসংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, মিলনায়তন, সেমিনারকক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন, কমপক্ষে তিনটি অনুষদ ও তার অধীনে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। এ রকমভাবে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এসব শর্ত সঠিকভাবে প্রতিপালন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টটরা দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। মানসম্মত শিক্ষার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা নেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আছে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, যা বিভিন্ন সময় ইউজিসির তদন্তেও উঠে এসেছে।

তাদের মতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদনের পূর্বে ভালোভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় অবকাঠোমো তৈরি না করেই যত্রতত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে অভিভাবকদের।

এ বিষয়ে ইউজিসি পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ড. ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমোদনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হলে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করি। পরিদর্শনে সবকিছু ঠিক মনে হলে অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন তারাই দেন।’


সর্বশেষ সংবাদ