০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯

দেশের ২২ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের  © টিডিসি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো: মাসুদ রানা বলেছেন, ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর, যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এখন সময়ের দাবি।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আবু তাহের মো: মাসুদ রানা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর, যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাক্ষরতার সংজ্ঞা কেবল অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাক্ষরতা বলতে মাতৃভাষায় পড়তে পারা, অনুধাবন করা, মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রকাশ করতে পারা, গণনা করতে পারা এবং ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারাকে বোঝায়। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য মৌলিক শিক্ষা, দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা, জীবনব্যাপী শিক্ষা ও বাজার চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ অনুসারে বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু ও নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, বছর ও তদূর্ধ্ব নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরজ্ঞান, জীবিকায়ন দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে শিক্ষা ও সাক্ষরতা কার্যক্রমে নতুন পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, বিশেষ করে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষণ-পদ্ধতিতে আধুনিকায়ন ঘটছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতা প্রসারে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থা ও গণমাধ্যমের সমন্বিত উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন।