গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি এক না থাকায় হাদির হত্যাকাণ্ড: ইশরাক
গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর এক না থাকায় ওসমান হাদির মতো দেশপ্রেমিকরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ইশরাক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর এক থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আজ সত্যিই এক থাকতে পারছি কিনা, সেটা আমাদের ভাবতে হবে। এর ফলেই হাদির মতো দেশপ্রেমিকদের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারছে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি একদিকে গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, আবার অন্যদিকে প্রশ্নবিদ্ধভাবে তাদের ‘সফলতা’ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি হাসিনার দোসরদের নিয়ে বর্তমান সরকার চলছে। প্রশাসনিক সংস্কার ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার ছিল, তা তারা করেননি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বরং দেশের জন্য কাজ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের প্রিয় রুহুল কবির রিজভী তার জীবন্ত উদাহরণ।
এসময় ইশরাক মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বিগত ৫৪ বছরেও আমরা এমনটি দেখি নাই—যেভাবে আজ প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ১৯৭১ সালে একটি দলের ভূমিকা আড়াল করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কে এম আই মন্টি, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহেল রানা, মো. জাকির হোসেন, এ বি এম হেলাল উদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।