০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১২

শাশুড়ি খালেদা জিয়ার পাশে পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান

বাঁয়ে জোবায়দা রহমান (আজকের ছবি) ও খালেদা জিয়ার পাশে জোবায়দা রহমান (লন্ডনে আগের ছবি)  © টিডিসি ফটো

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকায় পৌঁছেছেন পুত্রবধূ ডা.জোবায়দা রহমান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে একটি সবুজ রঙের গাড়িতে চেপে তিনি অসুস্থ শাশুড়ি খালেদা জিয়ার কাছে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় জোবায়দাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

তিনি বলেন, ভাবি সকাল ১০টায় ৪৩ মিনিটে পৌঁছেছেন। এখান থেকে উনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন।

বিমান বন্দরে ডা. জোবায়দা রহমানকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান ও মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে (বিজে-৩০২) ডা. জোবায়দা রহমান দেশের পথে রওনা হন।

এদিকে কাতারের আমীরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।

তিনি বলেন, তাছাড়া ম্যাডামের শরীর গতকাল আবার খারাপের দিকে চলে যায়। খারাপ করে। যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রবিবার) ম্যাডাম ফ্লাই করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আামীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি।

চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধু জোবায়দা রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান। এর ১৭ বছর পর দেশে এসে একমাস কাটানোর পর ৫ জুন জোবায়দা লন্ডনে চলে যান।