চট্টগ্রাম-১৩ আসনে এনিসিপির থেকে মনোনয়নপত্র নিলেন রিদুয়ান
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনিসিপি) থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন রিদুয়ান হৃদয়। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষে রিদুয়ান হৃদয় ভর্তি হন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় এবং সেখানে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় অনার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (PIB)-এ সাংবাদিকতায় মাস্টার্স করছেন এবং পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।
মনোনয়ন সংগ্রহের পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিদুয়ান হৃদয়। তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের পাশ ঘেঁষা অবহেলিত অঞ্চল আনোয়ারা–কর্ণফুলীর উন্নয়ন ও জনগণের সেবাকে সামনে রেখে নির্বাচন করব। গত ১৫ বছরের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে মানুষের প্রত্যাশা ও দুর্ভোগ কাছে থেকে দেখেছি। জনগণের সেবা করতে পারলেই সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন।”
৫ আগস্টের পর থেকে আনোয়ারা–কর্ণফুলীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াত ও বৃহত্তর সুন্নী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এনিসিপি থেকে রিদুয়ান হৃদয়ের মনোনয়ন নেওয়াকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নতুন আলোচনার সূচনা হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলার এনিসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সানাউল্লাহ মির্জা বলেন, ‘রাজনৈতিক পুরনো বন্দোবস্তকে কবর দিতেই জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান। জন-মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল ক্লিন ইমেজের একজন নেতা পাবে কর্ণফুলীবাসী—যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ থাকবে না। আমি মনে করি, আনোয়ারা ও কর্ণফুলীবাসী যোগ্য একজন নেতাকে পেতে যাচ্ছে।’
আনোয়ারা উপজেলার এনিসিপির যুগ্ম-সমন্বয়কারী কাজী জাবের বলেন, ‘আমরা এমন একজন প্রতিনিধি চাই, যিনি গণমানুষের জন্য কাজ করবেন এবং আনোয়ারাবাসীর অধিকার আদায়ে লড়াই করবেন।’