‘জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোট’— আরপিওর সংশোধনীতে ১২ দলীয় জোটের আপত্তি
জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও শরিক দলগুলোকে নিজ নিজ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে— গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন সংশোধনীতে আপত্তি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। আরপিওর এ পরিবর্তন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে দলগুলো।
আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে ১২ দলীয় জোটের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বরাবর লিখিতভাবে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টি জোটের মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন।
লিখিত আপত্তিতে বলা হয়, আরপিও সংশোধনীর অনুচ্ছেদ-২০-এ জোটগত নির্বাচন বিষয়ে বলা হয়েছে, জোট মনোনীত প্রার্থী হলেও তাকে নিজের দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। আমরা এ পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করছি। অতীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে নিজেদের বা জোটের অন্য কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটা রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে এর আগে কোনো সমস্যা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই প্রক্রিয়া পরিবর্তনের কোনো দাবি ছিল না।
এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনাকালে আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলে বিএনপি সহ আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পত্রিকায় খবর এল যে জোট করলেও দলীয় প্রতীকে ভোট করতে হবে।
আরও পড়ুন : এনসিপির দপ্তর সেল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন সিফাত
দলগুলো মনে করে, জোট গঠনের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া। জোটবদ্ধ দলগুলোর পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক চাওয়ার অধিকার আছে। এভাবেই এত দিন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং এতে কোনো সমস্যা হয়নি। এই প্রচলিত পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিল, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তা ছাড়া নির্বাচনের প্রধান অংশীজন অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াই এমন একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনভিপ্রেত এবং আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।' আরপিওর এই সংশোধনী রাজনৈতিক দল গুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে।
তারা আরও বলেন, জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করা কিংবা নির্বাচন করার অধিকার থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছে অনুযায়ী নিজ দল কিংবা জোটের যে কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করাও গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার ক্ষুন্ন করার কোনো সুযোগ আছে বলে ১২ দলীয় জোট মনে করে না। তাই আমরা আরপিওতে ২০ অনুচ্ছেদের পূর্বের বিধান বহাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। সংস্কারের দোহাই দিয়ে ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না।