১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১২

বাপ-দাদার নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন মনোনয়ন না পায়: আশিক

ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী মফিজুর রহমান আশিক  © টিডিসি ফটো

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মফিজুর রহমান আশিক বলেন, আমি জুলাই আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বাঁশখালীতে একটি পরিবারকে প্রশ্ন করতে ও চ্যালেঞ্জ জানাতে এসেছি। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ না নিয়ে, শুধু বাপ-দাদার নাম ভাঙিয়ে বিএনপির মনোনয়ন কেউ পেতে পারে না। আওয়ামী লীগের সেই চেয়ারম্যান-এমপিরা, যারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ফাঁসি দাবি করেছে এবং কটূক্তি করেছে- তাদের যেসব বিএনপি নেতা সেফ এক্সিট দিয়েছে কিংবা মামলার আসামি হতে দেয়নি, তারা কোনোভাবেই বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য নয়।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পুঁইছড়ি প্রেমবাজারে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মফিজুর রহমান আশিকের নেতৃত্বে নাপোড়া বাজার থেকে একটি বিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাপোড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেমবাজারে গিয়ে শেষ হয়।

মফিজুর রহমান আশিক বলেন, “আমি বাঁশখালী নিয়ে স্বপ্ন দেখি। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার প্রিয় বাঁশখালী ঐক্যবদ্ধ হবে। তার সেই স্বপ্নের সাথে খুঁজে পাওয়া যায় মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের সেই স্বপ্নের সামঞ্জস্য।”

তিনি আরও বলেন, “একদিন বাঁশখালীর প্রতিটি শিশু শিক্ষা লাভ করবে, প্রতিটি পরিবার মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে, প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পাবে স্বাস্থ্যসেবায়, এবং সকল মানুষ ন্যায় ও সমৃদ্ধির আলোয় জীবন যাপন করবে। পাহাড় থেকে উপকূল পর্যন্ত মানুষ একত্রে কাজ করবে শান্তি, সাম্য ও অগ্রগতির জন্য—এমন স্বপ্নের বাঁশখালীই হবে উন্নয়নের মডেল।”

বক্তব্যে মফিজুর রহমান আশিক বলেন, “আমি বাঁশখালীর পশ্চিম, পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করব, অবিচার, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাব। জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও অধিকার রক্ষায় আমি সর্বদা পাশে থাকব।”

বক্তব্যের শেষাংশে তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, আমি আপনাদের কখনো পরিত্যাগ করব না। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার প্রিয় বাঁশখালী হবে আশার, ন্যায়ের ও মানবতার আলোকবর্তিকা।”

চট্টগ্রামের দক্ষিণ উপকূলীয় এই উপজেলার মানুষের মধ্যে তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বহু মানুষ মন্তব্য করেছেন—এ যেন নতুন প্রজন্মের জন্য ‘স্বপ্নের বাঁশখালী’র রূপরেখা।