দুই জেলায় এনসিপির ৫ নেতার পদত্যাগ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই জেলার সমন্বয় কমিটি থেকে ৫ নেতা পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন মাদারীপুরের শিবচরের। অপরজন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার।
মাদারীপুরের পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন- শিবচর উপজেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শাকিল খান, সদস্য মো. রিয়াজ রহমান, সদস্য মহিউদ্দিন, সদস্য কাজী রফিক।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করা নেতার নাম আরফান উদ্দিন মাসুদ। তিনি কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। পদত্যাগ করার কারণ হিসেবে শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এনসিপির সূচনালগ্ন থেকে সাতকানিয়া উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি। গত ২৫ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমাকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে।’
পোস্টে তিনি অভিযোগ করে লেখেন, ‘এক ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তে কোনও ধরনের আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়া এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি। তা ছাড়া এই পদে আমাকে রাখা হবে- এ বিষয়ে অবগত করা হয়নি। এ কারণে পদত্যাগ করছি। পাশাপাশি এরপর থেকে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখব না। কমিটিতে পদ দেওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এক ব্যক্তি বলতে এনসিপির দক্ষিণ জেলার সমন্বয়ক সিফাত হোসাইনকে বুঝিয়েছি। মূলত তার একক সিদ্ধান্তেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কমিটি দেওয়ার আগে জানানো হয়েছিল, আমি কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পাব। কিন্তু কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দেখলাম, যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন কিংবা সম্পর্ক অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ ওনারা (এনসিপি) পুরোনো ধাঁচেই রাজনীতি করে যাচ্ছেন। পদ-পদবি দেওয়ার ক্ষেত্রে বা কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের চর্চাগুলো হয়, সেগুলোই দেখা গেছে।’
অন্যদিকে, শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে শিবচর প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ৪ নেতা বলেন, গত ১৫ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস অথবা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত।
তারা আরও বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসিনি। কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ের গণ-আন্দোলনে ছাত্রসমাজের পাশে থেকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। দীর্ঘ আত্মবিশ্লেষণ ও গভীর চিন্তা-ভাবনার পর আমরা স-জ্ঞানে ও সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।