০৭ জুলাই ২০২৫, ২০:০৮

নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে এনসিপির চেয়ে কম ভোট পাবে আওয়ামী লীগ, কত শতাংশ?

এনসিপি ও আওয়ামী লীগের লোগো   © টিডিসি সম্পাদিত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত না হলেও তরুণদের বড় একটি অংশ আগেভাগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। তাদের চোখে বিএনপি ও এনসিপি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক শক্তি। আর ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’ নির্বাচনে অংশ নিলেও এনসিপির চেয়েও কম ভোট পাবে। এমন অভিমত উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে। সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে জরিপের প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রাইহানের নেতৃত্বে গবেষণা দল এই জরিপ পরিচালনা করেন। গবেষণা দলে আরও ছিলেন একরামুল হাসান, শাফা তাসনিম, এশরাত শারমিন, নীলাদ্রি নভিয়া নভেলি এবং মো. রজিব।

জরিপ অনুযায়ী, তরুণরা মনে করেন, বিএনপি ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে জামায়াত, যারা পাবে ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট। অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে মনে করেন তারা। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং অন্যান্য দল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে। আর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে ১৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেতে পারে।

জরিপে জানানো হয়, ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ মনে করেন, মব জাস্টিসের ঘটনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। যুবসমাজের পরিবর্তন: চাকরি, শিক্ষায় এবং জুলাই আন্দোলনের পর বদলানো রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চলার পথ’ শীর্ষক এই জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের মধ্যে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ ছিলেন নিরপেক্ষ। তারা কোনো মত দেননি। আর ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ মনে করেন দৈনন্দিন জীবনে মব জাস্টিস প্রভাব ফেলছে না।

জানা গেছে, ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণে পরিচালিত জরিপটিতে মোট ১৭টি কেস স্টাডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে তরুণদের অভিজ্ঞতা ও মতামতের বিভিন্ন দিকগুলো উঠে আসে। সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা ইস্যু দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলছে, তা জানার জন্য জরিপে বিভিন্ন প্রশ্ন রাখা হয়। আগুন লাগানো, ডাকাতি ও চুরির মতো ঘটনার প্রসঙ্গে ৮০ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; ১২ দশমিক ১ শতাংশ নিরপেক্ষ এবং ৭ দশমিক ৭ শতাংশ একমত নন।