২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৩

আমেরিকাবিরোধী মনোভাব থাকলে ভিসা হবে না

স্টেট ডিপার্টমেন্ট, যুক্তরাষ্ট্র  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস বা কাজের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের এখন থেকে ‘আমেরিকাবিরোধী মনোভাব’ খতিয়ে দেখা হবে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদনকারীর কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার বিষয়টিও রয়েছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। বিধিনিষেধের এই কড়াকড়ি অভিবাসনবিষয়ক অধিকারকর্মী ও আইনজীবীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার (ইউএসসিআইএস) হালনাগাদ নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভিবাসন কর্মকর্তারা এখন আবেদনকারীদের ‘আমেরিকাবিরোধী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা’ বা ‘ইহুদিবিদ্বেষী কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ’ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পারবেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভিবাসনের আবেদন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ইতিমধ্যে জুন মাসে চালু করা হয়েছিল। এটি এখন আরও বিস্তৃত করে ‘আমেরিকাবিরোধী কার্যকলাপের’ অনুসন্ধানের বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিমালা কঠোর করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ পদক্ষেপ। এ ধরনের অনেক নতুন পদক্ষেপে অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় আ. লীগের অফিস স্থাপন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল ভারত

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএসসিআইএসের মুখপাত্র ম্যাথু ট্র্যাজেসার বলেন, ‘যারা এই দেশকে ঘৃণার চোখে দেখে এবং আমেরিকাবিরোধী মতাদর্শ প্রচার করে, তাদেরকে আমেরিকার সুবিধা দেওয়া উচিত নয়।’

তবে হালনাগাদ নীতিমালায় ‘আমেরিকাবিরোধী মনোভাবের’ কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, এর মধ্যে তারাই অন্তর্ভুক্ত, যারা ‘ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ইহুদিবিদ্বেষী মতাদর্শ’ সমর্থন করে।

এতে ‘আমেরিকাবিরোধী’ মতাদর্শের উদাহরণ হিসেবে ১৯৫২ সালের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের (আইএনএ) একটি ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একে অভিবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামগ্রিক আইনি কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ধারায় নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব প্রাপ্তি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য; যাঁরা ‘বৈশ্বিক কমিউনিজমের’ পক্ষে কথা বলেন; যাঁরা ‘রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক ধারণার’ বিরোধিতা করে লেখালেখি করেন বা এ ধরনের জিনিসপত্র প্রচার করেন, অথবা যাঁরা বলপ্রয়োগ বা সহিংসতার মাধ্যমে মার্কিন সরকারকে উৎখাত করতে ইচ্ছুক।