২০ জুন ২০২৫, ১২:১১

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তান কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে

পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির  © সংগৃহীত

পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বুধবারের বৈঠকটিকে একধরনের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে উপস্থাপন করার কথা ছিল। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার পর, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

বাইডেন সরকারের সময় ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট যেখানে একটি ফোনকলও পাননি, সেখানে এখন হোয়াইট হাউসে সরাসরি বৈঠক হচ্ছে, এটা স্পষ্টভাবেই একটা অগ্রগতি। কিন্তু এই বৈঠক এমন এক সময় হলো, যখন ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবছেন এবং যা পাকিস্তান শুরু থেকেই সমর্থন করেনি।

ট্রাম্প সমর্থন করছেন ইসরায়েলকে, যার কর্মকাণ্ডকে পাকিস্তান ‘বর্বরোচিত’ বলেছে। একই সময়ে, পাকিস্তান ইরান থেকে প্রায় তিন হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে একটি বড় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় ব্যস্ত।

মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী দেশ। বৈঠকটি দুই ঘণ্টা হলেও তার কোনো অংশ ক্যামেরাবন্দি করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে কী আলোচনা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। তাই আজকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রশ্ন ছিল ‘ওই কক্ষে কি কোনো বেসামরিক রাজনীতিক ছিলেন?’ এরপর প্রশ্ন ছিল, ‘তাহলে আমরা কি গণতান্ত্রিক দেশ?’

হালকা হাস্যরসের মধ্যে মুখপাত্র জবাব দেন, ‘পাকিস্তান নিঃসন্দেহে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’।

এরপর ফিল্ড মার্শালের বৈঠক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে বিদেশি সাংবাদিকদের সেনাবাহিনীর কাছে যেতে বলেন তিনি।