বাংলাদেশে বিয়ে নিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করল চীনা দূতাবাস
চীনা নাগরিকদের বিদেশি বিবাহ সম্পর্কিত আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত, অবৈধ ম্যাচমেকিং এজেন্টদের এড়িয়ে চলা উচিত বলে সতর্ক করেছে চীনা দূতাবাস। গত ২৫ মে জারি করা ওই নির্দেশনায় একই সঙ্গে ‘বিদেশি স্ত্রী কেনার’ ধারণা প্রত্যাখ্যান করতে এবং বাংলাদেশে বিয়ে না করার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে দেশটি।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস ও হংক বেজড সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
চীনের ঢাকা দূতাবাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলা হয়, চীনা আইন অনুসারে, কোনো নাগরিক আন্তঃসীমান্ত বিবাহ পরিষেবাগুলোয় প্রকাশ্যে বা গোপনে জড়িত হতে পারে না। প্রতারণার মাধ্যমে কিংবা লাভের আশায় এ ধরনের কার্যকলাপ পরিচালনা করার কোনো অনুমতি নেই।
দূতাবাস আরও বলেছে, চীনা নাগরিকদের বাণিজ্যিক আন্তঃসীমান্ত বিবাহ সংস্থাগুলো থেকে দূরে থাকার এবং অনলাইন প্রেমের ফাঁদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে যারা এ ধরনের ফাঁদের শিকার হয়েছেন, অবিলম্বে তাদের চীনের জননিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত।
দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশে অবৈধ বিবাহে জড়িত ব্যক্তিরা মানবপাচারের জন্য গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন, যা প্রায়ই দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের সূত্রপাত হয়। বাংলাদেশ মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফলে আন্তঃসীমান্ত বিয়ের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হতে পারে। পুলিশ মামলা করা থেকে আদালতে সাজা প্রদান পর্যন্ত কয়েক মাস এমনকি বছরের পর বছর সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দণ্ডবিধি এবং মানবপাচারবিরোধী আইনে বলা হয়েছে, মানবপাচারকারীদের কমপক্ষে সাত বছর, সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এমনকি মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
দূতাবাস জানিয়েছে, যারা মানবপাচারে উসকানি, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন বা সহায়তা করে, তাদের তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।