১৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৪

সিএমপি কমিশনারের বক্তব্য ফাঁস করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে অমি দাশ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। রবিবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অমি দাশ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কমিশনারের বক্তব্য ফাঁস হওয়ায় চট্টগ্রাম নগরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বস্তিতে পড়েন। তাদের গোপন বার্তা বাহিরে চলে যাওয়ায় তদন্ত শুরু হয়। একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে অমি দাশকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটে কর্মরত কনস্টেবল। বর্তমানে তিনি সিএমপির খুলশী থানায় দায়িত্ব পালন করছেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায় এবং বাবার নাম রাজিব দাশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ ওয়াকিটকিতে নগরের সব পুলিশ সদস্যকে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেন। এর আগে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বন্দর থানার এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। কমিশনারের বার্তাটি এক কর্মকর্তা ভিডিও করে ওয়াকিটকিতে পাঠান। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ১১ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিং, ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের হামলায় বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।

পরদিন দিবাগত রাতে কমিশনার হাসিব আজিজ সিএমপির সকল সদস্যকে ওয়্যারলেসে মৌখিক নির্দেশনায় বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্র ব্যবহারের প্রাধিকার ছিল, সেই অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবির টিম এবং সব ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে। লাইভ অ্যামুনিশন ছাড়া কোনো পার্টি ডিউটিতে বের হবে না।

কমিশনার আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র রবার বুলেট দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বন্দরে একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। যদি পরিস্থিতি এমন হয়, মোবাইল বা পেট্রোল পার্টি যেন লাশ ছাড়া ফিরে না আসে। পুলিশ টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে তা হতে পারে ধারালো অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র এক্ষেত্রে গুলি করা হবে, কোনো সন্দেহ নেই। পুলিশের আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ অনুযায়ী সবার আছে। অস্ত্র বা কোপ দেওয়ার আগে অস্ত্র বের করলেই গুলি হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’