মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা না: আসিফ মাহমুদ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ PM

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের ‘মার্চ ফর খিলাফতে’ পুরানা পল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া। প্রথমে সেই ব্যক্তিকে রিকশাচালক বলে প্রচার করা হলেও পরবর্তী সময়ে জানা যায় তিনি একজন পানি সাপ্লায়ার।
আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে ডিবি অফিস থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্টও দেন আসিফ।
এর আগে রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে যৌথ বাহিনীর লাঠিচার্জের সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠিচার্জের সময় পুলিশের সঙ্গে নিজ থেকেই যুক্ত হন লাল টি-শার্ট পরিহিত এক যুবক। সেনাসদস্যরা দ্রুতই তাঁকে সরিয়ে দেন। পরে আরও কিছু ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, ওই যুবককে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালান নেটিজেনরা।
খবর পাওয়া মাত্রই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যান এবং ওই যুবককে ছাড়িয়ে আনেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে ডিবি অফিস থেকে মুক্ত করে আনা হয়।
বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘৫ আগস্টের পর এই জনতা সব সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। বিপ্লবোত্তর একটা ভঙ্গুর আর অসহযোগিতা পূর্ণ প্রশাসন নিয়ে জনতার সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব ছিল। গতকাল যারা সরকারকে মিস ইনফরমেশন দিয়েছেন নোট করে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আর যারা মুখোশ পরে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও সাবধান হয়ে যান। জনতাকে এখন আর ঘোল খাওয়ানো যায় না, তাঁরা সব বোঝে।’
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা না। আগে রিকশা চালাতেন। এখন বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোতে পানি সাপ্লাইয়ের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে তার উপরেও হামলা করে আহত করা হয়। পরবর্তীতে আর্মির সদস্যরা তাকে এরেস্ট করে ডিবিতে সোপর্দ করে। তাকে ছাড়িয়ে এখন ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। জনতাই শক্তি।’
এর আগে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মধ্যেই বায়তুল মোকাররম থেকে বিজয়নগরের দিকে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর। এ সময় টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ১৫-২০ জন সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পুরান পল্টন এলাকায় মিছিল বের করে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে তাদের আটক করা হয়।