২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৫

ওসমান হাদিকে বহন করা রিকশাচালকের জবানবন্দি

ওসমান হাদিকে বহন করা রিকশাচালকের জবানবন্দি  © সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন। ঘটনার দিন তার রিকশায় করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে কামাল হোসেন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন মতিঝিলের খলিল হোটেল এলাকা থেকে দুজন যাত্রী নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছানোর পর একটি মোটরসাইকেল তার রিকশার পাশ দিয়ে যায়। মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী ছিল। একেবারে কাছ থেকে গুলি চালালে তার এক যাত্রী সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন।

তিনি আরও জানান, আশপাশের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন, গুলিবিদ্ধ ওই যাত্রীর নাম শরিফ ওসমান হাদি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তিন দিন পর, ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। ওসমান হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।