সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরের ৫ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার সধ্যা ৬ টা ১৬ দিকে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর মুনিরুজ্জামান রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিন আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বরের একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেন। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পাশাপাশি গত রাতে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি দায়ের করেন জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। মামলার অপর আসামিরা হলেন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করে দেশকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। আসামিরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে বসে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার গুজব (প্রপাগান্ডা) চালিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করছে। এসব বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন।