১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪০

বাজার থেকে নেসলের কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ

নেসলের কিটক্যাট চকলেট  © সংগৃহীত

মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নেসলে বাংলাদেশের কিটক্যাট চকলেটের একটি লট বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার খাদ্য আদালত। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) খাদ্য আদালতের আদেশে ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারির মধ্যে এসব অপসারণ করতে বলা হয়েছে। বাদী পক্ষের দাখিলী দরখাস্ত মতে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট কিটক্যাটের ব্যাচ নম্বর (৪৪৩৯৯১৩৯) এবং উৎপাদন কোড (৬২৯৪০০৩৫৩৯০৫৪) উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান তার আবেদনে বলেন, ‘নেসলে বাংলাদেশ কিটক্যাট চকলেট একটি অনিবন্ধিত, অননুমোদিত, অস্পষ্ট এবং নিম্নমানের পণ্য; যা অনিরাপদ, ভেজাল এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।’

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে, ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং খাদ্য ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে; আদালতকে নেসলে বাংলাদেশকে বাজার থেকে কিটক্যাট চকোলেট প্রত্যাহার এবং ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য এবং বিএসটিআই লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নেসলে কিটক্যাট চকলেটের আমদানি, বিপণন এবং বিক্রয় সাময়িকভাবে স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে নেসলে বাংলাদেশ। বিবৃতিতে তারা জানায়, আমরা এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম এবং আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের দেওয়া প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি সিটি ফুড কোর্টও জামিন নিশ্চিত করেছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ব্যাচের পণ্যের ইনভয়েস সংক্রান্ত কোনো শর্ত আরোপ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমরা এখনো আদালতের আদেশের সনদপ্রাপ্ত কপি পাইনি। তাই সেই কপি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার সংরক্ষণ করছি।

আমরা আমাদের সব পণ্যের মান নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত, যার মধ্যে সরকারি ভাবে আমদানি করা পণ্যও রয়েছে। এই পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা বিসিএসআইআর থেকে ইতিবাচক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছি।নেসলে বাংলাদেশ দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখে এবং প্রয়োজন হলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।