৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:২৪

শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনাসহ ১৭ জনের রায় পেছাল

শেখ রেহানা ও তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী  © ফাইল ফটো

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।

আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজিরও হন। তবে আদালত অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মাইনুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম।

একই আদালতে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির আরও দুই মামলা বিচারাধীন। যার মধ্যে একটি রায়ের জন্য সোমবার ধার্য রয়েছে। আরেকটি মঙ্গলবার সাক্ষ্যের জন্য রয়েছে। তিন মামলায় গত ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

শেখ পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।

সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। গত ২৭ নভেম্বর তিন মামলায় ২৩ আসামির রায় এসেছে। রায়ে শেখ হাসিনার ২১ বছর, জয় ও পুতুলের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে। এক আসামি খালাস পেয়েছেন। অপর ১৯ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।