২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৪৮

১০ দিনে টাইফয়েড টিকা পেয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ শিশু

সভায় অতিথিরা  © সংগৃহীত

সারাদেশে গত ১০ দিনে অন্তত এক কোটি ৭০ লাখ শিশুকে বিনামূ্ল্যে টাইফয়েডের টিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৫ কোটি শিশুকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘দেশে টাইফয়েড কমাতে এই টিকা অপরিহার্য এবং টিকাটি নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন, যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত। তাই সরকার সবাইকে তাদের সন্তানদের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।’

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরিচালিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিকাদানের হার তুলনামূলক কম।’

সন্তানকে নিজ হাতে টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী বাবা-মা

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ‘বাংলাদেশে এক মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই টাইফয়েড জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে আট হাজার মানুষ টাইফয়েড জ্বরে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ছয় হাজার জনের বয়স ১৫ বছরের নিচে।’

দূষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে মূলত টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সভায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি ও শক্তিশালীকরণে করণীয় পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন ইপিআই অ্যান্ড সারভেল্যান্সের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ দিপিকা শর্মা।