০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৬

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ পাস

সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন গঠন করার জন্য একটি অধ্যাদেশ পাস হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান থাকবেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের কোনো একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ অধ্যাদেশ পাস হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করার বিধান রেখে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে পাস করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের প্রধান থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের কোনো একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। যিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। সদস্য হবেন গ্রেড ওয়ানের নিচে নয় এরকম কোনো সরকারি কর্মকর্তা, গ্রেড ওয়ানের নিচে নন এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি কর্মরত হতে পারেন, অবসরপ্রাপ্ত হতে পারেন। মানবাধিকার এবং সুশাসন বিষয়ে কাজ করেছেন, অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন।

পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব-জনমুখী করা হলো এর মূল উদ্দেশ্য। এই কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে কী কী করণীয় এই বিষয়ে কমিশন সরকারকে সুপারিশ দেবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার, এগুলো তারা চিহ্নিত করবে। 

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে কমিশন। নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি, পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কল্যাণমূলক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারকে সুপারিশ দেওয়া আর পুলিশ সংক্রান্ত যে সমস্ত আইন নীতি ও গবেষণা করতে হবে এগুলোর বিষয়েও সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা হবে এই কমিশনের কাজ।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, কমিশনের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, নাগরিকদের যে অভিযোগগুলো থাকবে পুলিশের ব্যাপারে, সেগুলোর তদন্ত নিষ্পত্তি করা। পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেগুলোরও নিষ্পত্তি করা। এই হচ্ছে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের মূল ফিচার।