০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০

চকোলেট-সুভেনিরে ‘হ্যাঁ’, দামি ঘড়ি-আইপ্যাডে ‘না’: প্রলোভন জয়ের গল্প লিখলেন উপদেষ্টা

মুহাম্মদ ফাউজুল কবির খান  © সংগৃহীত

উপহার হিসেবে সুভেনির, বই, অবাণিজ্যিক পণ্য, বা মূল্যসীমার মধ্যে কোন খাবার ইত্যাদি গ্রহণ করেন। বিপরীতে তাদের তার নিজের লেখা বই উপহার দেন। তবে যেব দামি উপহারের প্রতি তার লোভ হয় সেগুলো গ্রহণ করেন না সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাউজুল কবির খান। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। 

‘প্রলোভন’ শিরোনামে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাউজুল কবির খান লেখেন, ‘কিছুদিন আগে শ্রীলংকায় এক মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে গেলে সেখানকার বিদ্যুৎ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমাকে একটি উপহার প্রদান করা হয়। হোটেলে ফিরে গিফট বক্স খুলে দেখি একটি দামি ব্র্যান্ডের হাতঘড়ি। ঘড়িটি আমি হাতে পড়ি, পছন্দ হয়, লোভ হয়। দেশে ফিরে এসে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি লিখে ঘড়িটি তোষাখানায় জমা দেয়ার জন্য পাঠাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত পরশু আবার এক ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রধান (আদানি নয়) আমার সাথে দেখা করেন, আমাদের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে। দীর্ঘদিনের পাওনা বকেয়া পরিষদ করায় কৃতজ্ঞতা জানতে এসেছেন। ফেরার সময় বলেন সামান্য উপহার নিয়ে এসেছি। আমি তাঁকে বলি উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত মূল্যসীমা আছে। উপহারটি খুলে দেখি একটি আইপ্যাড। বাসার আইপ্যাডটি পুরনো হয়ে গেছে, তাই লোভ হয়। আইপ্যাডটি তাঁকে ফিরিয়ে দিই। পাশে সোফায় বসে আমার কান্ড দেখে অন্য একজন উপদেষ্টা মিটি মিটি হাসছেন।’

কোন ধরনের উপহার গ্রহণ করেন তা জানিয়ে ফাউজুল কবির খান বলেন, তবে কোন উপহারই গ্রহণ করিনা এমন নয়। বিদেশী মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতরা দেখা করার সময় সুভেনির, বই নিয়ে আসেন। অবাণিজ্যিক পণ্য, বা মূল্যসীমার মধ্যে কোন খাবার, যেমন, চকোলেট। সেগুলো গ্রহণ করি। বিনিময়ে তাদের নিজের লেখা বই উপহার দিই। ভাগ্যিস কয়েকটা বই লিখেছিলাম!

শেষে তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয়েছে, প্রলোভনের উর্ধ্বে ওঠাই জনপ্রতিনিধিদের প্রধান কাজ। এটা করতে পারলেই অন্য সব কাজ সহজ হয়ে যায়। আশা করি আসন্ন নির্বাচনে জনগণ নির্লোভ জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন।’