১৬ জুন ২০২৫, ১৭:৪৩

‘নির্দোষ হলে টিউলিপ কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন?’

ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘টিউলিপ নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে তার আইনজীবী দুদকে চিঠি লিখল কেন? টিউলিপ মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন কেন?’

আজ সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘টিউলিপের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান ও আরেকটি তদন্তাধীন। এখন যদি আপনি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের সুবিধার জন্য কখনো ব্রিটিশ বলেন, কখনো বাংলাদেশি বলেন, এটা সমীচীন কি না! এটা আমার চেয়ে আপনারাই ভালো বিবেচনা করবেন। টিউলিপের ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা আমাদের কাছে তার যে স্ট্যাটাস, স্ট্যাটাসটা হচ্ছে—তিনি দুদকের একজন অভিযুক্ত এবং আমরা সেটাই বলব।’

টিউলিপের নাগরিকত্ব নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘আমরা যাকে (টিউলিপ) নিয়ে ডিল করছি, তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, আমরা আমাদের যে ল্যান্ড অফ ল, সেই ল্যান্ড অফ ল অনুসরণ করে কাজ করছি। কাজেই আমার মনে হয়, আমাদের দিক থেকে কোনো ভ্রান্তি নেই।’

টিউলিপের ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সঠিক ঠিকানায় তলবগুলো পাঠানো হচ্ছে। রাজউকের প্লট, গুলশানের প্লট বিতরণের অনিয়মসহ আরও অভিযোগ আছে। তার আয়কর রিটার্ন ঘেঁটে দেখলাম। সেখানে হঠাৎ করে তার স্বর্ণ ১০ ভরি থেকে লাফ দিয়ে ৩০ ভরি হয়ে গেছে। সেখানে দামের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয় নাই।’

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ। তিনি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি। ঢাকার গুলশানের অবৈধভাবে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল মামলা করে দুদক।

গতকাল রবিবার টিউলিপকে দ্বিতীয় দফায় তলব করে দুদক। এর আগে ১৪ মে টিউলিপকে তলবে ডেকেছিল দুদক। তবে সেই তলবি চিঠি পাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এর আগে পূর্বাচল নতুন শহরে ১০ কাঠা করে নিজের মা শেখ রেহানা, ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় তাঁকে ব্রিটিশ মন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনা হয়েছে।