০৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৪

নারী ফুটবলে বাংলাদেশকে ফিফার কুর্নিশ

বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

বিগত কয়েক বছরে বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় দল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফল্য এসেছে একের পর এক। এবার সেই সাফল্যের স্বীকৃতি জানিয়ে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা।

প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে ভালো করলে মিলবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন ঐতিহাসিক অর্জনের পাশাপাশি ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও এসেছে রেকর্ড উন্নতি। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ পোস্ট করেছে ফিফা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিশ্বব্যাপী পাবলিক করা পোস্টে কয়েকটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছে ফিফা। যার ক্যাপশনে লেখা ছিল, ১০০-এর কাছাকাছি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করার পর ফিফা/কোকা-কোলা নারী র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে উঠেছে। সামনে আছে নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা।

এরপর সবমিলিয়ে ৬টি ফটোকার্ড শেয়ার করেছে ফিফা। প্রথমটিতে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিংয়ের গ্রাফ দেখিয়েছে সংস্থাটি। ক্যাপশনে, নারী র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী দল।

দ্বিতীয় ফটোকার্ডে ফিফা লিখেছে, ২০২৩ সালের আগস্টে ফিফা নারী বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম। কিন্তু ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর বিশ্বের ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছে তারা।

তৃতীয় ফটোকার্ডে ফিফা লিখেছে, এতদিন এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে কখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৫ বাছাইপর্বে একটিও ম্যাচ না হেরে অপরাজিত থেকে ইতিহাস গড়েছে তারা। আগামী বছর মূল পর্বে শীর্ষ ৬-এর মধ্যে থাকতে পারলে প্রথমবারের মতো ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের।

চতুর্থ কার্ডে বাংলাদেশের ভালো করার পেছনের কারণও জানিয়েছে ফিফা। সংস্থাটি লিখেছে, এই দ্রুত অগ্রগতির পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা "এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭" এবং ফিফার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে পাওয়া ধারাবাহিক সহায়তা।

সাফে শিরোপা জয়ের বিষয়টিও সামনে এনেছে ফিফা। সংস্থাটি লিখেছে, পরপর দুবার দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে দলটির। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থায়নে উপকৃত হয়েছে এই টুর্নামেন্ট।

সবশেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালের মন্তব্য তুলে ধরেছে ফিফা। তাবিথ বলেছেন, ফিফা নারী ফুটবলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এর ফলস্বরূপ নারী ফুটবলের প্রতি দর্শক ও ভক্তসংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় ফিফার এমন স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বড় প্রেরণা হয়ে উঠবে—এমনটাই আশা করছেন দেশের ফুটবলভক্তরা।