১৩ আগস্ট ২০২৫, ২১:১৫

পবিপ্রবিতে কর্মকর্তাকে চড়থাপ্পড়, তদন্ত কমিটি গঠন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রকাশ্যে এক কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সহকারী রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মাহমুদ আল জামান প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার শাখায় প্রবেশ করে সেকশন অফিসার সাকিন রহমানকে চড়থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা নিন্দনীয় ও শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে দেখছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কমিটির আহ্বায়ক কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন। সদস্যসচিব প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান এবং সদস্য হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন হোসেন খান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. আমিনুল ইসলাম রয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাকিন রহমান বলেন, ‘কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই তিনি (মাহমুদ) এসে আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার কাছে এ ধরনের আচরণ চরম নিন্দনীয়। আমি চাই, এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

মাহমুদ আল জামান পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি অতীতেও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, যা প্রশাসনিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগির: সচিব

যোগাযোগ করা হলে মাহমুদ আল জামান বলেন, ‘আজ আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি চড়থাপ্পড় মারি। আমার ভুল হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন হবে না।’

রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে আশা করছি।’

উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, কর্মস্থলে শারীরিক বা মানসিক আক্রমণ গুরুতর অপরাধ। দ্রুত তদন্ত শেষ করে সত্য উদ্‌ঘাটন করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।