মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘যুবদলের অনেক গুণ, পাথর মেরে মানুষ খুন’; ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদা তোলে পল্টনে, ভাগ যায় লন্ডনে’; ‘জ্বালাওরে জ্বালাও, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাও’; ‘বিএনপির সন্ত্রাস, বন্ধ করো করতে হবে’; ‘বিএনপির অনেক গুণ, ৯ মাসে ১৫৪ জন খুন।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিপ্রবি সমন্বয়ক ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান শান্ত বলেন, ‘গত বছর জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে মানুষ খুনের দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হয়েছে। একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে খুনের দায় তারেক রহমানকে নিতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগের আমলে লাঠি‑বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করতে দেখেছি। এখন বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল সেই একই কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবীরা এখনো বেঁচে আছি। আমরা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করার জন্য জুলাই বিপ্লব করিনি। আমরা বিপ্লবীরা বেঁচে থাকতে এই দেশে কোনো নতুন স্বৈরাচার তৈরি হতে দেব না।’
জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইব বিল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর থেকে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে, তা জুলাই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অথচ বর্তমান ইন্টেরিম সরকার এসবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা জুলাইয়ে এক নদী রক্ত দিয়েছি এমন দিন দেখার জন্য নয়। তাই আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, আমরা বিপ্লবীরা বেঁচে থাকতে কোনো চাঁদাবাজ বা খুনির হাতে দেশ তুলে দেব না। অতিবিলম্বে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’