২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০৭

সর্বজনীন বদলির ফাইল উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো নিয়ে যা জানা গেল

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য বদলি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হলেও সেটি ফেরত এসেছে। কিছু বিষয় সংশোধন করার পর এটি পুনরায় উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংশোধিত বদলি নীতিমালা কেন নতুন করে জারি করা হবে সে বিষয়ে নোট দেওয়া হয়নি। এজন্য বদলি নীতিমালার ফাইল উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ফেরত এসেছে। নতুন করে বিষয়গুলো সংযোজন করে এটি আবারও উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষকদের সংশোধিত বদলি নীতিমালা প্রস্তুত। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টার দপ্তরে গেলেও কেন সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এজন্য এটি পুনরায় সংশোধন করে উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হবে।’

কবে নাগাদ বদলির সংশোধিত পরিপত্র জারি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। ফাইল নতুন করে তোলার পর সম্ভাব্য সময় বলা যাবে। এজন্য আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।’

জানা গেছে, এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আগে বদলির কোনো সুযোগ ছিল না। প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে তারা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। প্রথম থেকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা এই সুযোগ পেলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের আবেদন করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি বদলি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। তবে শিক্ষকদের এক পক্ষের রিট, সফটওয়্যার প্রস্তুত না হওয়া, নীতিমালা সংশোধনসহ একাধিক কারণে এখনো বদলি কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরবর্তীতে সর্বজনীন বদলির উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়। শিক্ষা উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে।