২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৬

ওসমান হাদির বোনকে দেওয়া হচ্ছে অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান

শহীদ ওসমান হাদি ও তার বোন  © সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শহীদ ওসমান হাদির পরিবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ওসমান হাদির এক বোনকে অস্ত্রের লাইসেন্স ও একজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী (গানম্যান) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হবে।

সরকারি সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সম্মুখসারির যোদ্ধা, আন্দোলনের সমন্বয়ক, সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ। ইতিমধ্যে কয়েকজন জুলাই যোদ্ধাকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

নিরাপত্তা পাওয়ার তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের নাম রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন রাজনীতিক ও সংসদ সদস্য প্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন।

সূত্র জানায়, আবেদনের ভিত্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন ও জাফির তুহিন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের মতো কয়েকজনকে শিগগিরই গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অনেক যোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকির মুখে রয়েছেন। ওসমান হাদিকে হত্যার আগে কয়েক মাস ধরে বিদেশি নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তার মৃত্যুর পর ঝুঁকিতে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সরকার।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের গানম্যান দেওয়া হচ্ছে। তবে সবার ক্ষেত্রে গানম্যান দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ অনেক আবেদনকারী শিক্ষার্থী এবং তাদের চলাচলের ধরন অনুযায়ী গানম্যান দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মৌখিক আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। লিখিতভাবে যারা আবেদন করছেন, তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত মোট ১২ জন লিখিত আবেদন করেছেন। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।