ডেভিল হান্ট ফেজ–২: গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার প্রায় দেড় হাজার
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’ নামের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের প্রথম দুই দিনে সারা দেশে মোট ১ হাজার চারশত ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, রবিবার রাত থেকে শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলা এই অভিযানে মোট ১ হাজার চারশত ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ডেভিল হান্ট ফেজ–২ অভিযানে একদিনেই গ্রেপ্তার করা হয় ৫৬৭ জনকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রামদা, একটি তলোয়ার, একটি চাকু এবং একটি রিচার্জেবল ‘স্টানগান’ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলায় ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৯০৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর গত শনিবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায় জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে বিশেষ অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাত থেকেই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’ পরিচালনা শুরু করে।
এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলের গাজীপুরের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সেখানে ১৫ থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন। ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গাজীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভের মুখে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে গাজীপুরসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।