১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৪

মোহাম্মদপুরে মা মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী ও স্বামী রিমান্ডে

গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী জামাল সিকদার রাব্বি   © সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে, তার স্বামী রাব্বির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সহিদুল ওসমান মাসুম প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুন-অর-রশিদ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে, আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত আসামি আয়েশার ৬ দিন এবং তার স্বামী রাব্বি শিকদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এঘটনায় নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর আসামি আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি নিরুপায় হয়ে সকাল ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে তারা। তখন ওই অবস্থা দেখে মেয়েকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পান— আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় তার মেয়ের একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যান।সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদী নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করা হয়েছে।