মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কেন খুন করলেন, জানালেন গৃহকর্মী আয়েশা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই গৃহকর্মী আয়েশা পলাতক ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর আয়েশা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে গৃহকর্তী তাকে চুরির অভিযোগে আটকান এবং তল্লাশি করতে চান। এ সময় নিজের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনি লায়লা আফরোজকে আঘাত করেন। গৃহকর্তীর চিৎকার শুনে তার মেয়ে নাফিসা দৌড়ে এলে তাকেও একই অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। ঘটনার এক পর্যায়ে তার হাতেও কোপ লাগে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে আয়েশার এই বক্তব্যকে পুরোপুরি গ্রহণ করছে না পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই–বাছাই করা হবে, কারণ কিছু অংশ সন্দেহজনক ও অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত ছিল কি না, কিংবা পরিকল্পিত কোনো ঘটনাই কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশার সঙ্গে তার স্বামী রাব্বীকেও আটক করেছে পুলিশ। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়। স্বামীর দেওয়া তথ্যেই নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশা ৬ মাস আগে মোহাম্মাদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি বাসায় চুরি করেছিলেন বলে তথ্য মিলেছে।