জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জুলাইযোদ্ধার মামলা
জিজ্ঞাসাবাদের নামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন—সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এনি বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন। জুলাই ফাউন্ডেশন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুদান চেয়ে তিনি কিছু দালিলিক প্রমাণ দাখিল করেন। পরবর্তী সময় আসামিরা জুলাই ফাউন্ডেশনে একটি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যান।
এতে বলা হয়, সেখানে নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় এলোপাতাড়ি জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে তার মাথা বরাবর আঘাত করা হয়। এতে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর অজ্ঞান হয়ে যান। দীর্ঘ সময় পরে জ্ঞান ফিরে আসলে আসামিরা ফের তাকে মারধর শুরু করেন। এসময় জাহাঙ্গীরকে ভুয়া জুলাইযোদ্ধা এই কথা বলার জন্য চাপ প্রদান করেন।
এজাহারে বলা হয়, জাহাঙ্গীরের ফেইসবুকে পোস্ট দেখে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারা হয়। আসামিরা জানতে চান, বিএনপি নেতার সঙ্গে তার ছবি কেন। পরে আসামিরা তার ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। আসামিরা তার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাকে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে দেয়। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জের খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।