০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৪২

সেক্রেটারির মামলা, জামায়াত নিয়ে কী বলেছিলেন জাবি শিক্ষিকা নাহরিন?

জাবি শিক্ষিকা ও জামায়াত নেতা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষিকা ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। ড. নাহরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের রেজিস্টার ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলী আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তার বক্তব্যের অর্থ ছিল ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে জামায়াত নেতা বলেছিলেন, ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তবে জামায়াতের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। তিনি আরও বলেন, তাদের ধারণা আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টারদের ভোট জামায়াতের দিকে আসবে।

মামলায় অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ড. নাহরিন ইসলামের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ, যা তার ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি এমন বক্তব্য কখনও দেননি বলেও দাবি করেন এবং এটিকে মিথ্যা প্রচার ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ জানান, আদালতে ভিডিও ক্লিপসহ সব প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে মামলাটি পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য গ্রহণ করেছেন।