সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানা। তার মৃত্যুর ২৯ বছর পর তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘এই মামলার ব্যাপারে আদালতের কিছু নির্দেশনা রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
মাসুদ আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত চলমান। তাই কোনো আসামি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে আসামিদের একটি তালিকা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
উপকমিশনার আরো বলেন, আলোচিত এই মামলাটি নিয়ে আমরা গুরুত্বে সাথে কাজ করছি। বুঝে শুনে আমাদের এগোতে হচ্ছে।’
আদালতের নির্দেশে গেল সোমবার রমনা থানায় মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আসামিদের দেশত্যাগের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেই ।
সেদিন মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম রমনা মডেল থানায় স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল ইসলাম খন্দকারকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেয়া হয়।
এ মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক ছাড়াও তার মা লতিফা হক লুসি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, ডেডিড, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আব্দুস ছাত্তার, সাজু, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদকে আসামি করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ এখন দেশের বাইরে রয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সে সময় জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকা সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান।
ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে তুলে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই আদালতে একটি আবেদন করেন।