০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫৪

নওগাঁয় এক দিনে স্কুলছাত্রীসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁয় এক দিনে তিন উপজেলা পৃথক স্থান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়  © টিডিসি

নওগাঁয় এক দিনে তিন উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে স্কুলছাত্রীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনজনের মৃত্যুই হত্যা-সংক্রান্ত হতে পারে। ঘটনাগুলো তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পোরশায় আমবাগান থেকে সুমাইয়া (৯) নামের এক ছাত্রীসহ রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রাম থেকে মেহেদী (২৯) নামের এক যুবকের ও সাপাহার উপজেলার পিছলডাঙ্গা (মলপাড়া) গ্রামের খালের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় নুরুল ইসলাম (৭৩) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, জেলার পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের চক্করতলী গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আজ সকালে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আরবি পড়ে আসার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খেলতে যায়। এরপর সে আর বাসায় আসেনি। এরমধ্যে কুশাহার আম বাগানের মাঠের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে তার হাত-পা বাধা লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের ধারণা ধর্ষণের পর তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এর আগে রানীনগরের নিহত মেহেদীর পরিবারের লোকজন বলেন, কিছুদিন থেকে মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিল। গতকাল মেহেদীর স্ত্রী ঝগড়া লেগে বাপের বাড়িতে চলে গেলে রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে মেহেদীও তার রুমে ঘুমিয়ে যায়। আজ সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ের আমগাছে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

অপর দিকে সাপাহারের নিহত নুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বেলা বাড়লেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা গ্রামের দক্ষিণ দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দুর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পানিতে হাত-পা বাধা অবস্থায় তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান, সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ ও রানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বাবলু। তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে কেউ তাদের মেরে হাত-পা বেঁধে রেখেছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ গুলো জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যের সঠিক কারণ জানা যাবে।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান আরও বলেন, আমবাগানের মধ্যে থেকে হাতপা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। রাজশাহী থেকে সিআইডি ও পিবিআই আসছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।